নাকের অ্যালার্জি চিকিৎসায় ইমুনোথেরাপি
বিশ্বের প্রায় ৮-১০ শতাংশ লোক নাকের অ্যালার্জি বা অ্যালার্জি রাইনাইটিস রোগে ভুগে থাকেন। কোনো কোনো দেশে বিশেষত, অস্ট্রেলিয়াতে প্রায় ৩০ শতাংশ লোক এ রোগে ভুগেন। পুরনো জিনিসপত্র পরিষ্কার করতে গেলে বা ফুলের গন্ধ নেয়ার সময় বা ফুলের বাগানে পায়চারী করার সময় এবং প্রায় সময় যখন নাক বন্ধ হয়ে যায় তখন এ লক্ষণগুলোকে রোগ হিসেবে ভাবতে শুরু করেন
অ্যান্টিহিস্টামিন খেলে অবশ্য রোগের লক্ষণ কিছুটা উপশম হয়। কিন্তু যখন বার বার হয় তখন স্থানীয় যেকোনো ডাক্তার এবং পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তখন অ্যান্টিহিস্টামিনের পাশাপাশি স্প্রে আকারে স্টেরয়েড নাকের নাসারন্ধ্রে ব্যবহার করতে বলেন। এতে অবশ্য রোগী আগের তুলনায় অনেক বেশি ভালো অনুভব করেন। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো- যে যত দিন নেসাল স্টেরয়েড ব্যবহার করেন ততদিনই ভালো থাকেন, যেই নাকের স্প্রে বন্ধ করেন, তার সাথে সাথে না হলেও কিছুদিন পরই শুরু হয় তার সেই আগের অবস্থা, তখন হতাশ হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। কারণ, বার বার এবং এক নাগাড়ে বেশি দিন স্টেরয়েড নাসারন্ধ্রে ব্যবহার করা যায় না এর বহুল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস রোগটি হলো অ্যালার্জিজনিত নাকের প্রদাহ। উপসর্গগুলো হচ্ছে- অনবরত হাঁচি, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, কারো কারো চোখ দিয়ে পানি পড়া এবং চোখ লাল হয়ে যায়।
প্রকারভেদ
সারা বছর সার্বক্ষণিক অ্যালার্জিক রাইনাইটিস : সারা বছর ধরেই এই রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। বিশেষ করে পুরাতন ধুলাবালি (যাতে মাইট থাকে), ছত্রাক বা পোষা প্রাণীর লোম সংস্পর্শে এলেই এর লক্ষণ শুরু হয়।
ঋতুনির্ভর অ্যালার্জিক রাইনাইটিস : অনেক ঋতুতে ফুলের রেণুর আধিক্য থাকে এবং ওই রেণুর সংস্পর্শ এলেই রোগের লক্ষণগুলো দেখা দেয়। সাধারণত গ্রীষ্মের শেষে এবং বর্ষা ও শরতে এ রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে, অ্যালার্জি পরীক্ষা করে সেই অ্যালার্জি পরীক্ষার ওপর নির্ভর করে ভ্যাকসিন নেয়া।
বাংলাদেশের জনগণতো বটেই বেশির ভাগ চিকিৎসকেরও ভ্যাকসিন সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট ধারণা নেই। তারা রোগীরদের ভ্যাকসিন চিকিৎসা গ্রহণের উপদেশ তো দেনই না, উপরন্ত কোনো রোগী ভ্যাকসিন সম্পর্কে জানতে চাইলে বা রোগী ভ্যাকসিন নেন এ কথা শুনলে তারা রোগীদের নিরুৎসাহিত করেন বা উল্টাপাল্টা বলে থাকেন। যদিও আজ প্রায় ৮০ বছর ধরে অ্যালার্জি ভ্যাকসিন বিভিন্ন দেশে প্রচলিত এবং একেক দেশে একেকভাবে প্রয়োগ করা হয়। এর কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ছিল না, তাই অ্যালারজেন ভ্যাকসিন বা অ্যালারজেন ইমুনোথেরাপি ব্যবহারের দিকনির্দেশনা তৈরির জন্য ১৯৯৭ সালের ২৭ থেকে ২৯ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও সারা বিশ্বব্যাপী অ্যালার্জি, হাঁপানি ও ইমুনোথেরাপি সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থা যথা আমেরিকান একাডেমি অব অ্যালার্জি অ্যাজমা অ্যান্ড ইমুনোলোজি, ইউরোপিয়ান একাডেমি অব অ্যালারগোলজি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমুনোলোজি, ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব পেডিয়াট্রিক্স অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমুনোলোজি, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যালারগোলোজি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমুনোলোজি, জাপানিজ সোসাইটি অব অ্যালারগোলোজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকসিয়াস ডিজিস একত্র হয়ে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী দ্রব্যাদি বা অ্যালারজেনের বিরুদ্ধে প্রতিষেধকমূলক অ্যালার্জেন ইমুনোথেরাপি বা ভ্যাকসিনের ব্যবহারের দিকনির্দেশনা তৈরি করে। অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন অত্যন্ত কার্যকর বলে অভিমত প্রকাশ করেন।
তাই ভ্যাকসিন কী, কিভাবে কাজ করে, কাদের ক্ষেত্রে কার্যকরী, কোন বয়স থেকে শুরু করা যায়, কাদের ভ্যাকসিন দেয়া যাবে না, কতদিন দিতে হয় এবং কখন বন্ধ করতে হবে তা নিয়ে কিছু আলোচনা করা হলো।
অ্যালার্জি ভ্যাকসিন কী?
অ্যালারজেন ভাকসিন বা ইমুনোথেরাপি এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে স্বল্পমাত্রা থেকে পর্যায়ক্রমে উচ্চতর মাত্রায় অ্যালারজেন এক্সট্রাক্ট (যে অ্যালারজেন দ্বারা রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখা দেয়) অ্যালারজিক ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করানো হয়। যাতে পরে অ্যালারজেনের সংবেদনশীলতা কমে যায়।
কিভাবে কাজ করে?
১. রক্তের আইজিই (IgE) (যা অ্যালার্জির জন্য মূলত দায়ী) তাকে ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়।
২. রক্তে আইজিজির (IgE) মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে।
৩. মাস্ট সেল যা হিস্টামিন নিঃসরণ করে তা কমিয়ে দেয়।
কোন বয়সে ইমুনোথেরাপি শুরু করবেন?
হাঁচি বা নাক বন্ধ অ্যালার্জিজনিত কারণে হয়েছে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করার প্রথম দিন থেকেই ইমুনোথেরাপি শুরু করা সম্ভব। কোনো কোনো ইমুনোথেরাপিস্ট মনে করেন এক-দুই বছর বয়স থেকেই এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু করা যেতে পারে। তবে মাইটি অ্যালার্জির ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের নিচের বয়সের শিশুদের ইমুনোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ইমুনোথেরাপির সফলতা প্রমাণিত, তবে অল্প বয়সে ইমুনোথেরাপি রোগমুক্তির ক্ষেত্রে একটি অন্যতম প্রধান নিয়ামক।
ইমুনোথেরাপির জন্য আপনি কি উপযুক্ত?
যেসব অ্যালারজেন অ্যালার্জি রোগের কারণ তা নিরূপণ পরবর্তী সময়ে ইমুনোথেরাপির জন্য নির্ধারণ করা হয়। তবে ভিন্ন ধরনের তিনটির অধিক অ্যালারজেনের বিরুদ্ধে ইমুনোথেরাপি সাধারণত কার্যকর হয় না। ইমুনোথেরাপি শুরুর আগে মারাত্মকভাবে রোগাক্রান্ত রোগীদের পর্যাপ্ত ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাভাবিক অবস্থায় আনার পরই ইমুনোথেরাপি শুরু করা সম্ভব। দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগগুলো যেমন : নন-অ্যালারজিক, সাইনোসাইটিস ও নেসাল পলিপ রোগীদের ক্ষেত্রে ইমুনথেরাপির কোনো ভূমিকা নেই।
কাদের ভ্যাকসিন দেয়া যাবে না?
১. গুরুতর ইমুনোলোজিক্যাল ও ইমুনোডেফিসিয়েন্সি রোগে যারা ভুগছেন।
২. ক্যান্সার।
২. ভীষণ মানসিক ভারসাম্যহীনতা রোগে ভুগছেন এমন রোগী।
৪. বিটার ব্লকার দিয়ে চিকিৎসা করা হলে।
৫. রোগী সহযোগিতা না করলে।
৬. বড় ধরনের হৃদরোগ থাকলে।
৭. দুই বছরের নিচের শিশু।
৮. গর্ভবতী অবস্থায় ভ্যাকসিন শুরু করা ঠিক না, তবে আগে থেকে চলতে থাকলে তা চালিয়ে যাওয়া যায়।
৯. গুরুতর অ্যাজমা যখন কোনোমতেই ওষুধ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
রোগের প্রারম্ভিক অবস্থায় অ্যালার্জি ভ্যাকসিন চিকিৎসা শুরু সুবিধা
১. ইমুনোথেরাপি ব্যবহারে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহকে কমানোর চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ হওয়ার পথকে বাধার সৃষ্টি করে।
২. অ্যালার্জিজনিত সহজ রোগ থেকে জটিল রোগ হওয়ার পথকে বাধা দেয়। অর্থাৎ যেসব রোগী অ্যালার্জিজনিত সর্দিতে ভোগেন তাদের যাতে অ্যাজমা না হয় সেই পথ বন্ধ করে।
৩. প্রাথমিক অবস্থায় রোগের অতিসংবেদনশীলতা কম থাকায় ইমুনোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম থাকে।
কত দিন দিতে হয়?
যদিও ইমুনোথেরাপি কত দিন দিতে হবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট কথা নেই, তবে যারা ইমুনোথেরাপির সুফল পান তাদের তিন থেকে পাঁচ বছর চালিয়ে যেতে হবে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী :
যদিও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না বললেই চলে, তবুও এর যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে তা হলো-
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
যে জায়গায় ভ্যাকসিন দেয়া হয় সেখানে লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে।
সিস্টেমিক রিয়েকশন
এনাফাইলেক্সিস অ্যাজমা ও রইনাইটিসের উপসর্গগুলো বেড়ে যেতে পারে।
ইমুনোথেরাপি চিকিৎসা সুফল না পাওয়ার কারণ
১। যদি ঠিকমতো রোগ নির্ণয় না করা হয়।
২। যদি অ্যালারজেন ও তার মাত্রা ঠিকমতো না দেয়া হয়।
৩। ভ্যাকসিন যদি মানসম্মত না দেয়া হয়।
৪। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত না হয়।
৫। রোগীকে যদি ইমুনোথেরাপি সম্পর্কে সঠিক ধারণা না দেয়া হয় ও রোগী যদি ঠিকমতো সহযোগিতা না করে।
৬। অ্যালার্জি দ্রব্যাদি থেকে এড়িয়ে চলার ঠিকমতো উপদেশ না দেয়া হয়।
৭। ভ্যাকসিন দেয়ার প্রথম অবস্থায় কোনো অসুবিধা না হলেও পরে যদি অতিসংবেদনশীলতা দেখা দেয়।
৮। পরিবেশে যদি নতুন কোনো অ্যালারজেনের আবির্ভাব হয় যা রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সময় ধরা পড়েনি।
ইমুনোথেরাপির দীর্ঘমেয়াদি সুফল
ইমুনোথেরাপির মাধ্যমে দীর্ঘ দিন রোগমুক্ত স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব।
শুধু ওষুধ চিকিৎসায় আপনার জীবনযাত্রার প্রভাব
ওষুধ চিকিৎসায় সার্বক্ষণিকভাবে ওষুধ গ্রহণ, প্রতিদিন বারবার এর প্রয়োগে রোগী মানসিকভাবে বিষণœতায় ভোগে। কর্মজীবনে সে নিজেকে অসহায় ভাবে। সাধারণ-স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে সে নিজেকে আলাদা ভাবতেই বেশি পছন্দ করে। তাই শুধু ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসায় অনেক রোগীকে মানসিক ভারসাম্য হারাতে দেখা গেছে।
ইমুনোথেরাপি এবং ওষুধ চিকিৎসার তুলনা
কেউ কেউ দাবি করেন ইমুনোথেরাপী ওষুধ চিকিৎসার তুলনায় কম কার্যকর। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আসলেও কি তাই? সত্যিকার অর্থে ওষুধ চিকিৎসা এবং ইমুনোথেরাপী একত্রে কার্যক্ষমতা তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও শুধু ওষুধ চিকিৎসা তখনই কার্যকর যখন এটা ব্যবহার করা হয়। অথচ যখনই ওষুধ বন্ধ করে দেয়া হয় উপসর্গগুলো তখন আবার দেখা দেয়। রোগের স্থায়িত্ব ভেদে ওষুধ চিকিৎসা সারা জীবন ব্যবহার করতে হলেও ইমুনোথেরাপী চিকিৎসা তিন-পাঁচ বছরের মেয়াদান্তে রোগমুক্ত জীবনযাপন করা সম্ভব। যে রোগী প্রতিদিন ওষুধ ব্যবহার করেন তাকে পাশাপাশি ইমুনোথেরাপী চিকিৎসা প্রয়োগ করা হলে অ্যালার্জির বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই ওষুধ চিকিৎসার পাশাপাশি ইমুনোথেরাপী চিকিৎসার সফলতা পাওয়া যায় একথা উন্নত বিশ্বে স্বীকৃত।
কখন ইমুনোথেরাপি বন্ধ করতে হবে?
১. যখনই রোগীর রোগমুক্ত জীবন শুরু হবে তারপর দু-এক বছরের মধ্যে ধীরে ধীরে ইমুনোথেরাপি বন্ধ করলে পরবর্তী জীবনে উপসর্গহীন জীবনযাপন করা সম্ভব।
২. এ ছাড়া যেসব রোগী এক বছর ইমুনোথেরাপি ব্যবহার করার পরও উপসর্গ উন্নতির লাঘব হয়নি তাদের ক্ষেত্রে ইমুনোথেরাপি বন্ধ করা উচিত।
সঠিক পর্যালোচনায় দেখা যায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ইমুনোথেরাপি গবেষণায় প্রমাণিত সত্য যে, ইমুনোথেরাপি ওষুধ চিকিৎসার পাশাপাশি অ্যাজমা ও অ্যালার্জির তীব্রতা কমায়, বারবার আক্রান্তের হারকে কমায় ও রোগীকে রোগমুক্ত স্বাভাবিক জীবনযাপনে সহযোগিতা করে। তাই ইমুনোথেরাপির মাধ্যমে অ্যালারজেনগুলো শরীরের প্রতিক্রিয়ার ধরনকে বদলিয়ে দিয়ে প্রতিক্রিয়াহীন করার মাধ্যমে রোগীর অ্যালারজেনগুলোর ওপর সহনীয়তা বৃদ্ধি করে। ফলে ইমুনোথেরাপিপ্রাপ্ত রোগী পরবর্তী সময়ে ওই অ্যালারজেন দ্বারা রোগ উপসর্গ প্রকাশ থেকে মুক্ত হয়। তাই ইমুনোথেরাপি ওষুধ চিকিৎসার পাশাপাশি রোগমুক্ত স্বাভাবিক সুন্দর জীবনের জন্য অন্যতম নিয়ামক হিসেবে অ্যাজমা ও অ্যালার্জি রোগীদের রোগ চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি ভূমিকা রাখে।
আগে ধারণা ছিল, অ্যাজমার কোনো চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই। তাই গরিব রোগীরা তাবিজ-কবজ আর সচ্ছল রোগীরা পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা নিতে গিয়ে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা ও সময় দু’টোই অপচয় করছেন।
এ জন্য রোগীদের জানা দরকার, যে সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা গ্রহণ করলে এ রোগ থেকে পরবর্তীতে হাঁপানি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব, উন্নত দেশের সব প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা বর্তমানে বাংলাদেশেই রয়েছে।
অধ্যাপক ডা: গোবিন্দ চন্দ্র দাস
ইমুনোলজি বিভাগ,
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা।